পাঁচ বছরে — 2015-16 এবং 2019-21-এর মধ্যে — ভারতে 13.5 কোটি মানুষের দারিদ্র্য মুক্তি ঘটেছে বলে দাবি করেছে নীতি আয়োগ। এই তথ্য প্রকাশ পেয়েছে সরকারি এই থিঙ্ক ট্যাঙ্কের সর্বশেষ ‘জাতীয় বহুমাত্রিক দারিদ্র্য সূচক: অগ্রগতি পর্যালোচনা 2023’ রিপোর্টে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে ভারতের বহুমাত্রিক দরিদ্রের (মাল্টিডিমেনশনাল পভার্টি) সংখ্যায় 9.89 শতাংশ অংকের পতন দেখা গেছে। যা 2015-16 সালে ছিল 24.85% তা 2019-21 সালে নেমে এসেছে 14.96%-এ।
জাতীয় বহুমাত্রিক দারিদ্র্য সূচক (মাল্টিডিমেনশনাল পভার্টি ইনডেক্স) বহুমাত্রিক দারিদ্র্য পরিমাপ করতে সাহায্য করে। এই সূচক স্বাস্থ্য, শিক্ষা এবং জীবনযাত্রার মানের দিকগুলি পরিমাপ করে বঞ্চনার মাত্রার অনেক কষে. এর মধ্যে রয়েছে পুষ্টি, শিশু ও কিশোরী মৃত্যু, মাতৃস্বাস্থ্য, স্কুলে পড়ার বছর, স্কুলে উপস্থিতি, রান্নার জ্বালানি, স্যানিটেশন, পানীয় জল, বিদ্যুৎ, আবাসন, সম্পদ এবং ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট-এর মতো 12টি সূচকের পরিমাপ। নীতি আয়োগের রিপোর্ট বলছে উল্লিখিত সময়কালে এই নিরিখে বেশ কিছুটা উন্নতি হয়েছে দেশে।
দারিদ্র্য প্রধানত গ্রামীণ নাগরিকদের প্রভাবিত করে। পর্যালোচনাধীন সময়ে, গ্রামীণ এলাকায় দারিদ্র্য 32.59% থেকে কমে 19.28% হয়েছে। গত পাঁচ বছরে, শহরাঞ্চলে দারিদ্র্য 8.65% থেকে কমে 5.27% হয়েছে।
3.43 কোটি মানুষ দারিদ্র্য থেকে মুক্তি পেয়েছে উত্তরপ্রদেশে। যে কোনও রাজ্যের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সংখ্যা এটাই। 36টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল এবং 707টি প্রশাসনিক জেলার জন্য বহুমাত্রিক দারিদ্র্যের অনুমান প্রদান করে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে বহুমাত্রিক দরিদ্রের অনুপাতের সবচেয়ে দ্রুত হ্রাস উত্তরপ্রদেশ, বিহার, মধ্যপ্রদেশ, ওড়িশা এবং রাজস্থান রাজ্যে দেখা গেছে।
জাতিসংঘের উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি) তার প্রতিবেদনে বলেছে যে 2005-2006 এবং 2019-21 এর মধ্যে — অর্থাৎ গত 15 বছরে — ভারতে প্রায় 4 কোটি 15 লক্ষ মানুষ দারিদ্র্য থেকে বেরিয়ে এসেছে। তার কয়েকদিন পরে নীতি আয়োগের এই প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হয়েছে।
এছাড়াও, চিন (2010-2014 সালের মধ্যে 6.9 কোটি), বাংলাদেশ (2015-2019 সময়কালে 1.9 কোটি), ইন্দোনেশিয়া (2012-2017 সালের মধ্যে 80 লক্ষ), পাকিস্তানের (70 লক্ষ) মতো অন্যান্য দেশেও অনেক মানুষ দারিদ্র্য থেকে বেরিয়ে এসেছেন।
Published: July 19, 2023, 08:14 IST
পার্সোনাল ফাইনান্স বিষয়ের সর্বশেষ আপডেটের জন্য ডাউনলোড করুন Money9 App